page contents
Cool Neon Green Outer Glow Pointer

Must See this post কি ভাবে সঠিক নিয়মে নামায আদায় করবেন Must See this pos

http://www.moviezone247.ml/search?updated-max=2016-07-07T11:40:00-07:00&max-results=10
নামাজ আদায় করার নিয়ম।

১.জানামজের দোয়াঃ
অযু পরে জায়নামাজে দাড়ালে জানামজের দোয়া পরতে হবে।

ِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَالسَّمَوَتِ وَاْلاَرْضَ حَنِيْفَاوَّمَااَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ

আরবিঃ ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু ওজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন।
Must See this post
বাংলা অর্থঃ নিশ্চই আমি তাঁহার দিকে মুখ ফিরাইলাম, যিনি আসমান জমিন সৃষ্টি করিয়াছেন। আমি মুশরিকদিগের দলভুক্ত নহি।

২ নামাজের নিয়ত করাঃ
নামাজ শুরুর আগে নির্দিষ্ট নামাজের জন্য নিয়ত করা প্রত্যেক নামাজীর উপর আবশ্যক। নিয়তের স্থান হল অন্তর। মুখে উচ্চারণের মাধ্যমে নিয়ত করার প্রয়োজন নেই।

৩ কিবলামুখী হয়ে আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়ানোঃ
রাসূল সাঃ যখনই নামাজে দাঁড়াতেন, কিবলার দিকে মুখ করে দাঁড়াতেন। তিনি বলেছেন, যখন তুমি নামাজে দাঁড়াবে, তখন পরিপূর্ণরূপে অযু করবে, অতঃপর কিবলামুখী হয়ে আল্লাহ আকবার বলবে।

৪ নাভির নিচে হাত রাখাঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃ নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে নাভির নিচে স্থাপন করতেন। আবু দাউদ-নাসাঈ নাভির নিচে হাত রাখাটাই ছহীহ হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত। এছাড়া অন্য কোথাও রাখার হাদীছ বিশেষ করে বুকের উপর হাত রাখার হাদীস দুর্বল।

৫ ছানা পাঠ করাঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে ছানা পাঠের বিভিন্ন বাক্য প্রমাণিত আছে। সাধারণ পাঠকদের সুবিধার্থে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত এবং সহজ দু‘আটি এখানে উল্লেখ করা হল। سُبْحَانَكَ اَلَلهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَك اَسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ উচ্চারণঃ “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়াতাবারাকাস্‌মুকা ওয়া তা‘লা যাদ্দুকা ওয়া লাইলাহা গাইরুকা” অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার প্রশংসা জড়িত পবিত্রতা জ্ঞাপন করছি, তোমার নাম বরকতময়, তোমার মহানত্ব সমুন্নত। আর তুমি ছাড়া প্রকৃত কোন মাবুদ নাই”।
Must See this post
৬ সিজদায় স্থানে দৃষ্টি রাখাঃ
নবী সাঃ নামাজ অবস্থায় মাথা সোজা রেখে যমীনের দিকে দৃষ্টি রাখতেন। তাঁর দৃষ্টি সিজদায় স্থান অতিক্রম করতো না।
Must See this post
৭ কিরাত পাঠ করাঃ
কিরা‘ত পাঠ করার পূর্বে রাসূল সাঃ নীরবেأعُوْذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ উচ্চারণঃ “আউজু বিল্লাহি মিনাশ্‌শায়ত্বানির রাযীম” এবং بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيْمِ উচ্চারণঃ “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” পাঠ করতেন। অতঃপর সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন। সূরা ফাতিহা পাঠ করা নামাজের রুকন। সূরা ফাতিহা ছাড়া নামাজ হবেনা।
৮ মুক্তাদীর জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ জরুরী নয়ঃ
ইমামের পিছনে মুক্তাদীগণ সূরা ফাতিহা পাঠ করবে না। কারণ, কুরআনের বানী “কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করা হলে তোমরা চুপ থাক। রাসূল সাঃ এর বাণী “ইমামের কিরআতই মুক্তাদির কেরাত।” মুসলিম সুতরাং মুক্তাদীগণ সূরা ফাতেহা পাঠ করবে না। এখানে একটা কথা বলা প্রয়োজন। হাদীসের কোথাও একথা নেই যে, মুক্তাদীদের সূরা ফাতেহা পড়তে হবে। হাদীসে আছে সুরা ফাতেহা ছাড়া নামাজ হয় না। এটি একাকি নামাজ আদাকারী ও ইমামের জন্য খাস।

৯ সূরা ফাতিহা শেষে মুক্তাদীগণ সবাই নিঃশব্দে আমীন বলবেঃ
রাসূল রাঃ যখন সূরা ফাতিহা পাঠ শেষ করতেন, তখন অনুচ্চ স্বরে আমীন বলতেন। তিরমিযী, আহমদ, হাকেম

১০ নামাজের প্রথম দু’রাকাতে সূরায়ে ফাতেহার পর অন্য সূরা মিলানো। একাকী নামাজ আদায়কারী ও ইমাম

১১ রুকূ করা প্রসঙ্গঃ
কিরা‘আত পাঠ শেষে রাসূল সাঃ আল্লাহ আকবার اَللَّهُ اَكْبَرُ বলে রুকূতে যেতন। বুখারী রুকুতে স্বীয় হাঁটুদ্বয়ের উপর হস-দ্বয় রাখতেন এবং তিনি এজন্য নির্দেশ দিতেন। বুখারী তিনি কনুই দু‘টোকে পাঁজর দেশ থেকে দূরে রাখতেন। তিনি রুকু অবস্থায় পিঠকে সমান করে প্রসারিত করতেন। এমন সমান করতেন যে, তাতে পানি ঢেলে দিলেও তা যেন সি’র থাকে। বুখারী, তিরমিজী, তাবরানী তিনি নামাজে ত্রুটিকারীকে বলেছিলেন, অতঃপর যখন রুকূ করবে, তখন স্বীয় হস্তদ্বয় হাটুদ্বয়ের উপর রাখবে এবং পিঠকে প্রসারিত করে স্থিরভাবে রুকূ করবে। আহমাদ তিনি পিঠ অপেক্ষা মাথা উঁচু বা নীচু রাখতেন না। বরং তা মাঝামাঝি থাকত। বুখারী, আবু দাউদ
রুকুর দু‘আঃ রুকুতে রাসূল সাঃ এই দূ‘আ পাঠ করতেন سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ উচ্চারণঃ ‘সুবহানা রাব্বীয়াল আযীম’। অর্থঃ আমি মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা ঘোষণা করছি। এই দূ‘আটি তিনি তিনবার বলতেন। কখনও তিনবারের বেশীও পাঠ করতেন। আহমাদ

১২ রুকূ থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানোঃ
অতঃপর রাসূল সাঃ রুকূ হতে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। তিনি এই দূ‘আ বলতে-বলতে রুকূ হতে মাথা উঠাতেন, سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ উচ্চারণঃ সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ। অর্থঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করে, আল্লাহ তার কথা শ্রবন করেন। বুখারী-মুসলিম তিনি যখন রুকূ হতে মাথা উঠাতেন, তখন এমনভাবে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন যে, মেরুদন্ডের হাড়গুলো স্ব-স্ব স্থানে ফিরে যেত। অতঃপর তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় বলতেন, رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ উচ্চারণঃ রাব্বানা লাকাল হাম্‌দ। হে আমার প্রতিপালক! সকল প্রশংসা তোমার জন্য।

১৩ নামাজে রফউল ইয়াদাইন না করাঃ
রাফউল ইয়াদাইন অর্থ উভয় হাত উঠানো। নবী সা. এর নামাজে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া অন্য কোথাও রফউল ইয়াদাইন নেই। মর্মার্থ তিরমিযী, নাসায়ী
Must See this post কি ভাবে সঠিক নিয়মে নামায আদায় করবেন Must See this pos
১৪ সিজদায় প্রসঙ্গঃ
অতঃপর রাসূল সাঃ আল্লাহ আকবার বলে সিজদায় যেতেন। তিনি বলেছেন, কারও নামাজ ততক্ষন পর্যন্ত পূর্ণ হবেনা, যতক্ষন না সে সামিআল্লাহ হুলিমান হামিদাহ বলে সোজা হয়ে দাঁড়াবে অথঃপর আল্লাহ আকবার বলবে, অতঃপর এমনভাবে সিজদায় করবে যে, তার শরীরের জোড়াগুলো সুসি’রভাবে অবস্থান নেয়। সিজদায় অবস্থায় পার্শ্বদ্বয় থেকে হস’দ্বয় দূরে রাখতেন। বুখারী, আবু দাউদ
নবী সাঃ রুকূ-সিজদায় পূর্ণাঙ্গরূপে ধীরসি’রভাবে আদায় করার নির্দেশ দিতেন।
সাজদার দূ‘আঃ সিজদায় অবস্থায় তিনি এই দূ‘আ পাঠ করতেন, سُبْحَانَ رَبِّيَ الاَعْلَى উচ্চারণঃ “সুবহানা রাব্বীয়াল আ‘লা”। অর্থঃ ‘আমি আমার সুউচ্চ প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি’। তিনি এই দূ‘আটি তিনবার পাঠ করতেন। অতঃপর নবী সাঃ আল্লাহ আকবার বলে সিজদায় থেকে মাথা উঠাতেন। তিনি বলেছেন, কোন ব্যক্তির নামাজ ততক্ষন পর্যন্ত পূর্ণ হবেনা, যতক্ষন না এমনভাবে সিজদায় করবে যে, তার দেহের প্রত্যেকটি জোড়া সুস্থিরভাবে অবস্থান নেয়।
দুই সাজদার মাঝখানে বসাঃ প্রথম সিজদায় ও সাজদার তাসবীহ পাঠ করার পর ‘আল্লাহ আকবার’ বলে স্বীয় মস্তক উত্তলন করতেন। দুই সাজদার মাঝখানে ধীরস্থিরতা অবলম্বন করা ওয়াজিব। নবী সাঃ দুই সাজদার মধ্যবতী অবস্থায় এমনভাবে স্থিরতা অবলম্ভন করতেন, যার ফলে প্রত্যেক হাড় স্ব স্থানে ফিরে যেত। আবু দাউদ
দুই সাজদার মাঝখানে দূ‘আঃ দুই সাজদার মধ্যখানে নবী সাঃ এই দূ‘আ পাঠ করতেন,اَللَّهُمَّ اغْفِرْلِىْ وَ ارْحَمْنِى وَ اهْدِنِىْ وَ عَافِنِىْ وارْزُقْنِىْ উচ্চারণঃ ‘আল্লাহুম্মাগফিরলী, ওয়ার হামনী, ওয়াহ্‌দিনী, ওয়া আফিনী ওয়ারযুকনী’ অর্থঃ “হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা কর, দয়া কর, হিদায়াত দান কর, মর্যাদা বৃদ্ধি কর এবং জীবিকা দান কর”। এই দূ‘আ পাঠ করে নবী সাঃ আল্লাহ আকবার বলে দ্বিতীয় সিজদায় যেতেন এবং প্রথম সাজদার মতই দ্বিতীয় সিজদায় তাসবীহ পাঠ করতেন। অতঃপর আল্লাহ আকবার বলে সিজদায় থেকে মাথা উঠাতেন বুখারী এবং দ্বিতীয় রাকা‘আতের জন্য সোজা দাড়িয়ে যেতেন। আবু দাউদ

১৫ প্রথম তাশা্‌হহুদঃ
নবী সাঃ চার রাকা‘আত বা তিন রাকা‘আত বিশিষ্ট নামাজের প্রথম দুই রাকা‘আত শেষে তাশাহ্‌হুদ পাঠের জন্য ডান পা সোজ করে বাম পায়ের উপর বসতেন।বুখারী আরেক হাদীসে আছে নামাজের সুন্নাত হলো ডান পা সোজ করে বাম পায়ের উপর বসা।বুখারী তাশাহহুদের উচ্চারণঃ আত্‌তাহিয়াতু লিল্লাহি ওয়াস্‌ ছালাওয়াতু ওয়াত্বায়্যিবাতু আস্‌সালামু আলাইকা আইয়্যুহান্‌ নাবিউ ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আস্‌সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্‌ সালিহীন আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু। এভাবে তাশাহ্‌হুদ পাঠ করার পর আল্লাহ আকবার বলে চার বা তিন রাকা‘আত বিশিষ্ট নামাজের বাকী নামাজের জন্য দাঁড়াবে। বাকী নামাজ পূর্বের নিয়মে সমাপ্ত করবে।

১৬ শেষ বৈঠক ও সালাম ফেরানোঃ
তাশাহ্‌হুদ পাঠের জন্য শেষ বৈঠকে বসা ওয়াজিব। বসার নিয়ম হলো ডান পা খাড়া রেখে বাম পায়ের উপর বসা। এভাবে বসে প্রথমে আত্যাহিয়াতু পাঠ শেষে রাসূল সাঃ এর উপর দরূদ সালাত পাঠ করতে হবে।
দরূদের উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদু ম্মাযীদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদু ম্মাযীদ। দরূদ পাঠ শেষে এই দূ‘আ পাঠ করতে হবে, উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসী জুলমান কাছীরাও ওয়ালা ইয়াগফিরুজ্‌ জুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর্‌ রাহীম। বুখারী অতঃপর প্রথমে ডান দিকে পরে বাম দিকে সালাম “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ” বলে ফিরিয়ে নামাজ সমাধা করবে।

ভাল থাকুন। নিয়মিত আপডেট টিউন পেতে ফেসবুক পেইজ এ লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন
facebook page

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger Widgets