page contents
Cool Neon Green Outer Glow Pointer

most extreme scenic places in the world

bashor_17-1430753561-6045aca_xlarge
 সবচেয়ে শুকনো স্থান — Atacama Desert


এটি একটি মালভুমি টাইপের স্থান। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উচু এবং পুরোটাই মরুভুমি। শুস্ক মরুভুমি। এতটাই শুস্ক যে পৃথিবীতে এতটা শুস্ক আর কোন অঞ্চল নেই। Atacama মরুভুমির অবস্থান মোটামুটি চারটা দেশের মাঝখানে। চিলি. পেরু, বলিভিয়া এবং আর্জেন্টিনা। মজার বিষয় হচ্ছে এই চারটা দেশের কেউই এই অঞ্চলটা নিয়ে মোটেই মাথা ঘামায় না কারন এর শুস্কতা।

একদিকে আন্দিজ পর্বতমালা এবং এবং একদিকে প্রশান্ত মহাসাগর এবং এই দুয়ের মাঝখানে রয়েছে এই মরুভুমিটি। এটি এতটাই শুস্ক যে বিজ্ঞানিরা চাদের পরিবেশের সাথে এর তুলনা করেছেন। সাধারনত আমাদের সাধারন মাটির বৈশিষ্ট হচ্ছে মাটির উপরে বর্ষন হলে সেই পানি চুইয়ে মাটির নিচে গিয়ে একটা নির্দিস্ট লেয়ারে জমা হয়। কিন্তু এই মরুভুমিতে সেটা হয় না। কারন হচ্ছে এখানে কোন বর্ষনই হয় না। বিজ্ঞানিদের হিসাবে মতে এখানে একবার বৃস্টি হয়েছিল 1570 সাথে আর পরের বার হয়েছিল 1971 সালে প্রায় ৪০০ বছর পরে। এর পরে আর কোন খবর নেই। আর সেই বৃস্টির পরিমানও খুবই অল্প ছিল।

আর সমুদ্র থেকে যে মাটির নিচের লেয়ারে পানিটুকুন আসার কথা তা উবে যায় প্রচন্ড তাপমাত্রারন কারনে। এখন সবার প্রশ্ন হচ্ছে এমন কেন হয়। বিজ্ঞানিরা গবেষনা করে যা পেয়েছেন তা হচ্ছে খুবই মারাত্মক ঘটনা। দুইটা কারনে এটা হচ্ছে
১) আন্দিজ পর্বতমালা। এই পর্বতগুলো মুলত গলিত লাভা ভুপৃষ্ঠের অনেক নিচ থেকে উদগিরনের মাধ্যমে সৃস্টি হয়েছে। সে লাভা উদগিরনের পরে তার স্তর মাটির অনেক কাছাকাছি চলে এসেছে। ফলে মাটির যেই স্তরে পানি থাকার কথা সেই স্তরে লাভার প্রচন্ড তাপমাত্রার ফলে পানি জমতে পারে না। জমার আগেই বাস্প হয়ে যায়।
২) আন্দিজ পর্বতমালা অত্যান্ত উচু। এতটাই উচু আর পর্বতগুলো এতটাই ঘন যে উত্তর-পৃর্ব থেকে আসা মেঘমালা কিছুতেই এই ঘন এবং উচু পর্বত পার হয়ে আসতে পারে না। ফলে বৃস্টিও হতে পারে না। আবার সমুদ্র পৃষ্ঠথেকেও যে মেঘমালা জমে তাও এই অঞ্চলে এসে অতিরিক্ত শুস্কতার কারনে উবে যায়।

এই একই কারনে এমাজন জঙ্গলে এত বেশি বৃস্টি পাত হয়। এবং এমাজনে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং বেশি পানি ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন নদী। কারন এই বিশাল অঞ্চলে যেই পরিমান বৃস্টিপাত হওয়ার কথা ছিল তার পুরোটাই আন্দিজের পর্বতমালার পাদেদেশে হয়। আর সেই পানি গরিয়ে তৈরি কেরেছে আমাজন নদী আর বিস্তৃর্ন আমাজন জঙ্গল।

এই মরুভুমির কারনে এর আশে পাশের বেশ কিছু সুউচ্চ পর্বতের চুরাতেও কোন বরফ নেই। অথচ এর চেয়ে অনেক কম উচ্চতার পর্বতেও অনেক অনেক বরফ জমে যায়। এর কারনে এই অঞ্চলে কোন মানুষের বসবাস নেই। কাউকে যদি শাস্তি দিতে চান এখানে এনে ছেরে দিলেই হবে। উপরের ছবিটাতে একটা মেয়ের মমি দেখা যাচ্ছে। মেয়েটা প্রায় ৮০০ আগে এই মরুভুমিতে মৃত্যুবরন করে। অতিরিক্ত শুস্কতর কারনে শরিটা পচেও যায়নি। এই মরুভুমিতে আরো অদ্ভুৎ সব মমি পাওয়া গেছে যেগুলো মোটেই মানুষের নয়। এখনও গবেষনা হচ্ছে সেই মমিগুলো নিয়ে।

আপনি এখন পর্যন্ত যতগুলো সাইন্সফিকশন মুভিদেখেছেন যেখানে চাদ বা অন্যান্য ভিনগ্রহের বাস্তব চিত্র দেখনো হয়েছে সবগুলোই এখানে চিত্রায়িত করা হয়েছে। কম্পিউটারে মুভি নির্মানের আগে সেই সত্তর-আশির দশকে সাইন্সফিকশন মুভি চিত্রায়িত করার জন্য এই স্থানটিই ছিল সবচেয়ে সুইটেবল স্থান।অস্বাভাকি বিষয় হচ্ছে কিছুদিন আগে মানে প্রায় মাস দুয়েক আগে এখানে প্রচুর বৃস্টির ফলে ভয়ানক এক বন্য হয়েগেছে্। মরুভুমি তে একেবারে হারিয়ে যাওয়া একটা নাদি হঠাৎ করে প্রচন্ড বৃস্টিতে মাটি ধুয়ে প্রচন্ড কাদার স্রোতের সৃ্স্টি করেছিল। সেই কাদার স্রোতের আঘাতে প্রচুর মানুষ ক্ষাতিগ্রস্থ হয়েছে। নিহত, আহত এবং অনেকেরই স্রেফ কাদার নিচে সলিল সমাধি হয়ে গিয়েছে। অস্বাভাবিক এই ঘটনাই প্রমান করে দিচ্ছে পৃথিবীর ক্লাইমেটের বর্তমান অবস্থা কোন পর্যায়ে আছে। মুলত এখানে সাধারনত একটা উচ্চচাপ থাকে। হঠাৎ করে ভুমধ্য সাগরে একটা নিম্ন চাপো সৃস্টি হলে সেটা আস্তে আস্তে এই অঞ্চরে দিকে আসতে থাকে। এক সময় সেটা এই উচ্চচাপের সাথে বাধাপেয়ে মেঘে পরিনত হয়। এই মেঘই আন্দিজ পর্বতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে প্রচন্ড বৃস্টি পাত ঘটায়। অথচ এই বৃস্টিটা হওয়ার কথা ছিল আমাজনে। বন্য হওয়ার কারন হচ্ছে আমাজনে যেভাবে পানিনিস্কাসনের জন্য প্রাকৃতিক বেসিন আছে এখানে সেটা নেই। ফলে পুরো পানিটাই লোকালয়ে ঢুকে পরে
৭) সর্বোচ্চ মানুষ্য বসতি — La Rinconada

বিষয়টা হচ্ছে মানুষ সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ঠিক কতটা উপরে বাস করতে পারে। ১০০ ফুট, ৫০০ ফুট, ১০০০ মিটার, তিন কিলোমিটার?? নাহ এর চেয়েও ঢের বেশি উপরে মানুষ বাস করে। রিতিমত একটা আস্ত শহরই আছে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫০০০ মিটার বা ৫ কিলোমিটার উপরে। শহরটার অবস্থান বর্তমান পেরুর আন্দিজ পর্বতমালার একটা পর্বতের চুরার ঢালের উপরে।


মুলত এই শহরটি স্থাপনের কারন হচ্ছে পাশেই থাকা বিশাল গোল্ড মাইন বা স্বর্ন খনি। বিপুল পরিমান স্বর্ন মজুদ আছে এই খনিটিতে। প্রচুর লোক কাজ করে এখানে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অতিরিক্ত উচ্চতার কারনে সাধারন মানুষেরা এখানে কাজ করতে পারে না। এর প্রধান কারন হচ্ছে অতিরিক্ত উচ্চতায় অক্সিজেন স্বল্পতা। পুরো শহরটিতে সর্বমোট বাস করে প্রায় ৩০ হাজার এর মতন মানুষ।


এত উচ্চতায় রাস্তার সুবিধা না থাকায় শহরটিতে বসবাসের জন্য প্রয়োজনিয় দ্রব্যসামগ্রি পৌছানো মারাত্মক একটা সমস্যা। এছারা এই শহরটিতে পরিপুর্ন ভাবে নাগারিক সুযোগ সুবিধা থাকে না। কারন বেশির ভাগ খনিশ্রমিকরা আরো অনেক নিচে অন্যএকটা শহরে বাস করে। যার কারনে সরকারও তেমন একটা আগ্রহ দেখায় না শহরটির প্রতি। ফলে এখানে ভয়াবহ অমানবিক অবস্থা বিরাজ করে। বিশেষ করে স্যানিট্যাশন অস্থা খুবই মারাত্মক। খাবারেরও অভাব থাকে পুরো শহরজুরে।
৮) সর্বোচ্চতম তাপমাত্রা — Death Valley

অল্প একটু গরম লাগলেই হাপিয়ে উঠেন। এসি আর ফ্যান ছারতে ছারতে বেদিশা হয়ে যান। কখনো জানতে চেয়েছেন পৃথিবীতে কোন স্থান সবচেয়ে গরম হয় এবং সেটা কত? আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়া অঙ্গরার্জের পুর্বঞ্চলে ড্যাথ ভ্যালি নামক একটি স্থান রয়েছে। এটি রেকর্ডকৃত সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রার অঞ্চল। এখানকার তাপমাত্র প্রায় ৫৭ থোক ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়ার পর্যন্ত উঠে যায় গ্রিস্ম কালে। খালি গায়ে তখন ওই স্থানে এক ঘন্টা ঘুরে আসলে আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে নিশ্চিত ভাবে। কিন্তু এমনটা কেন হয়??


গ্রিষ্ম কালে এই এলাকাটি এত গরম হওয়ার প্রধান কারন হচ্ছে এ অবস্থান। এটি একটি গিরিখাত এর মতন। পুরো এলাকাটি অনে অনেক উচু পর্বতশ্রেনি ঘিরে রেখেছে। পর্বতগুলো ঠিক পাদদেশে অবস্থিত এই এলাকা সম্পুর্ন সমতল আবার এই সমতল ভুমিটুকুন সমুদ্র পৃষ্ঠথেকে ২৮২ ফিট নিচে। এর কারনে সুর্যের তাপমাত্রার বেশির ভাগই সরাসরি মাটি পর্যন্ত পৌছে যায়। এতে মাটির কাছাকছি থাকা বাতাস আস্তে আস্তে গরম হয়ে উপরের দেকে চলে আছে আর উপরের বাতাস নিচে চলে যায়।

আবার সেটি গরম হয়ে উপরে চলে আসলে উপরে থাকা গরম বাতাসটা পর্বতরে গায়ে থাকা বরফের সান্নিধ্যে এসে হঠাৎ করে ঠান্ডা হয়ে গিয়ে নিচে চলে যায়। কিন্তু নিচের বাতাস এবং মাটি এতটাই গরম থাকে যে সেটি নিচে যেতে যেতে তেতে উঠে। এভাবে সার্বক্ষনিক একটা গরম বাতাসের লূ হাওয়া বইতে থাকে পুরো অঞ্চলটিতে। বাতাসটা এতটাই তেতে থাকে যে চামরা পুরিয়ে দেওয়ার অবস্থা হয়ে যায়। মনে হয় একটা আস্ত অগ্নিকুন্ডে মধ্যে এসে পরেছেন। বাতাস চলাচল করে ঠিকই কিন্তু সেই বাতাস আপনার শরির পুরিয়ে দেয়ার জন্য যথেস্ট
৯) সবচেয়ে নির্জনতম স্থান — Tristan de Cunha

এটি দক্ষিন আটলান্টিক মহাসাগরে আগ্নেয়গিরি সম্বলিত একটি দ্বিপ রাস্ট্র। বেশ কয়েকটি দ্বিপ নিয়ে রাস্ট্রটি গঠিত। এটি একই সাথে ইংল্যান্ডে এর রানির আন্ডারে একটি রাজ্য। এখানে রিতিমত আস্ত একটি সরকারও আছে। সরকার প্রধান অবশ্য রানির নিযুক্ত এজন গভর্নর। এবং সকল বৈদেশিক এবং রাস্ট্রিয় কার্যক্রম চলে ইংল্যান্ডের একক সিদ্ধান্তে। তবে এটি পুরোপুরি কিন্তু একটি স্বাধিন দেশ।

২০১৫ সালে এখানে সর্বোমোট বসবাসকারির সংখ্যা পাওয়া গেছে ৩০২ জন। সর্বমোট জমির পরিমান হচ্ছে ২০৭ বর্গ কিলোমিটার। মানে প্রতি ১.৪ বর্গকিলোমিটারে একজন করে মানুষ বাস করে। তবে এটি নির্জনতম স্থান হওয়ার আর একটা কারন আছে। এই দ্বিপ রাস্ট্রটি থেকে কাছাকাছি কোন দেশ বা সমুদ্র উপকুল এর দুরত্ব হচ্ছে প্রায় ২০০০ কিলোমিটার। তাও সেটাও আর একটা দ্বিপ। আর মোটামুটি সবচেয়ে কাছের পরিপুর্ন দেশ হচ্ছে সাউথআফ্রিকা যার দুরত্ব ২৪০০ কিলোমিটার।

তার মানে হচ্ছে এখানে যারা থাকেন তারা পুরোপুরি পৃথিবীর সকল অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন। কারন এখানে কোন বিমান বন্দর নেই। একটা ছোট সমুদ্রবন্দর আছে। যেখানে বাহিরের কোন জাহাজ মাঝে মধ্যে বিপদে পরলে এসে আশ্রয় গ্রহন করেন। পুরো দেশটির অর্থনিতি প্রধানত মাছ এবং কৃষির উপর নির্ভশিল। তবে এখানে বৈদেশিক বানিজ্য একেবারেই হয় না। কারন যোগাযোগের সমস্যা। মুলত কোন পন্য আনতে হলে নিকটস্থ দেশ সাউথআফ্রিকা থেকে জাহাজে করে প্রায় ২৪০০ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে আনতে হয়। সরকারি মালিকানায় দুইটা জাহাজ আছে যা নিয়মিত সাউথআফ্রিকার উপকুলিয় শহর কেপটাউন পর্যন্ত আসা যাওয়া করে। তবে সেটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এই যোগাযোগের কারনে এখানে টুরিস্টরাও যেতে চান না। যারা যান তাদের হাতে প্রচুর সময় থাকতে হবে। আর এত সময় কার হাতে থাকেন বলুন। তবে আপনি যদি পুরো পৃথিবী থেকে একেবারে হারিয়ে যেতে চান তবে এখানে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই।

মারাত্মক বিষয় হচ্ছে কিছুদিন আগে এখানকার সমুদ্র উপকুল থেকে বিশাল একটি তেল ক্ষেত্র আবিস্কার করেছে ইংল্যান্ড কর্তৃপক্ষ যেটা থেকে প্রচুর পরিমান তেল উৎপাদন এর আশা করছে তারা। তবে তার পরও এখানে বসবাস কারির সংখ্যা কিছুতেই বারাতে পারেনি। প্রধান কারন হচ্ছে যোগাযোগ। যারা বসবাস করছে তারা অধিকাংশই বংশ পরম্পরায় থাকছেন। আমার কাছে একটা বিষয় ভালো লেগেছে এদের বাড়িগুলো এবং সাজানো গোছানো প্রকৃতি। আমার ইচ্ছে আছে কোন এক সময় এই স্থানটাতে ঘুরে আসার।
১০) গভিরতম গুহা — Krubera Cave

একটা গুহা বা গর্ত কতটুকুন পর্যন্ত হতে পারে। না মানুষ্য নির্মিত গর্ত নয়। একেবারে প্রাকৃতিক গুহা। জর্জিয়ার পাহারি অঞ্চল আবখাজিয়াতে Krubera নামক গুহাটির গাভিরতা ভুপৃষ্ঠ থেকে দুই কিলোমিটারেরও বেশি নিচে। অস্বাভাবিক এই গুহাটি একেবেকে মাটির নিচে অত্যান্ত বিশ্বয়কর অবস্থার মধ্য দিয়ে মাটির অনেক গভির পর্যন্ত চলে গিয়েছে। বিশাল সব পুকুর, স্বচ্ছ পানির ধারক, গরম আবহাওয়া, মারাত্মক গ্যাস সহ কি নেই এই গর্তের মধ্যে।

প্রথম এই গুহাটা ২০০১ সালে পৃথিবীর নজরে আসে যখন ইউক্রেনের একদল ডুবুরি এবং অত্যান্ত দুঃসাহসি কিছু মানুষ এই গর্তের ভিতরে প্রায় ১৭০০ মিটার বা দের কোলেমিটার এর নিচে চলে যান। কিন্তু তাদের কাছে যথেস্ট খাবার এবং অক্সিজেন এবং প্রস্তুতি না তাকায় আবার ফেরত যেতে হয়। কারন তাদের ধারনার বাইরে গভির ছিল গর্তটি। আবার একটা খুবই মারাত্মক গ্যসিয় চেম্বারের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করার মত যথেস্ট জিনিষপত্র তাদের সাথে ছিল না সে সময়।

এর পরের বার প্রস্তুতি নিয়ে তারা আবার সেখানে গিয়ে প্রায় ২০৮০ মিটার নিচে চলে যান। কিন্তু এবার একটা অত্যন্ত গভির পানির পুকুরের সম্মুখিন হন। এই পুকুরটির গভিরতা যে কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে তার কোন ধারনাই নেই এই দলের। তারা ২০০৭ সালে সর্বনিম্ন প্রায় ২১৯১ মিটার পর্যন্ যেতে পেরেছিলেন। এর নিচে যাওয়ার মতন যথেস্ট জিনিষপত্র আর অক্সিজেন তাদের সাথে ছিল না। ধারনা করা হয় ওই পুকুরটির তলাতে মানুষের জন্য কোন এক বিষ্ময় অপেক্ষা করছে। কিভাবে এত গভিরে বিশাল এই পুকুরটার সৃস্টি হল সেটাও আর একটা বিষ্ময়। যেখানে ভালো করে অক্সিজেনই প্রবেশ করতে পারে না।

অভিযাত্রি দলের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক সমস্যা ছিল অসহ্য অন্ধকার। অন্ধকার সম্পর্কে আমার একটা টিউন আছে পরে আসতে পারেন। এই গুহার ভিতরের অন্ধকার আর নির্জনতা এতটাই বেশি যে আপনাকে দুই দিনের মধ্যে পাগল করে দিতে পারবে। আর এটাই অভিযাত্রিদলের জন্য সবচেয়ে সমস্যার বিষয় ছিল। তার পরে ওই পুকুরটা তাদেরকে আরো বেশি হতাশ করে ফেলেছিল। তবে ধারনা করা হচ্ছে এইবার অভিযাত্রি দল নিজেদের সাতে অত্যান্ত শক্তিশালি একটা রোবট রাখবেন যেটা তাদের অনেক কাজ সহজ করে দেবে। আশা করা যায় এই রহস্যের সমাধান করেই ছারবেন।

এই গুহাটি কিভাবে তৈরি হল সেটা আমি নিজেও ভলো করে বুঝতে পারি না। তবে আমার ধারনা আমার বন্ধুলিস্টে থাকা পলাশ ভাই বিষয়টা ব্যাখ্যা করতে পারবেন। তবে যতটুকুন বুঝেছিল এই পাহাড়ি অঞ্চল থেকে পানি কাছাকছি কৃষ্ন সাগরে যাওয়ার জন্য এই ফাটলটাকে ব্যবহার করতো। ফলে আস্তে আস্তে এখানে এত গভির একটা গর্তের সৃস্টি হয়েছে। তবে এটা একেবারেই আমার অনুমান নির্ভর
colect from tt

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger Widgets