page contents
Cool Neon Green Outer Glow Pointer

২৯৫ আরোহী নিয়ে মালয়েশিয়ার বিমান বিধ্বস্ত

ইউক্রেনের সংঘাতপূর্ণ এলাকায় ২৯৫ আরোহী নিয়ে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা আন্তন হেরাশেঙ্কোর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমি থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১০
হাজার মিটার উচ্চতায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তবে অন্য কোনো পক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরে আসার পথে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ফ্লাইট এমএইচ১৭ এর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাশিয়ার আকাশসীমায় ঢোকার আগে ইউক্রেইনের আকাশে বিমানটির সঙ্গে তাদের সর্বশেষ যোগাযোগ হয়।
বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজটিতে ২৮০ জন যাত্রী এবং ১৫ জন ক্রু ছিলেন, যাদের সবাই নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার বিমান পরিবহণ সংস্থার একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেইনের দোনেস্ক এলাকায় ভূপাতিত বিমানটিকে জ্বলতে দেখা গেছে।
ওই এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেইনের সরকারি বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। গত কয়েক সপ্তাহে সেখানে ইউক্রেইনের কয়েকটি সামরিক বিমানও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ভূপাতিত করা হয়েছে। রশিয়ার সেনাবাহিনী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে উন্নত প্রযুক্তির এসব ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ করে আসছে ইউক্রেইন।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী আরসেনি ইয়াতসেনিউক ইতোমধ্যে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় একটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে দোনেস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী কমান্ডার স্ত্রেলকভ বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ইউক্রেইনের সরকারি বাহিনীকেই দায়ী করেছেন এক টুইট বার্তায়।
এই টুইটে দুটি ছবিও দিয়েছেন তিনি, যাতে দূর থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যাচ্ছে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজির রাজাক এক টুইট বার্তায় বলেছেন, এ খবরে আমি স্তম্ভিত। যতো দ্রূত সম্ভব আমরা একটি তদন্ত শুরু করছি।
মাত্র চার মাস আগে, গত ৮ মার্চ মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের আরেকটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে উধাও হয়ে যায়। ব্যাপক আন্তর্জাতিক চেষ্টার পরও বিমানটির কোনো হদিস এখনো পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শাখতেরেক্স এলাকায় বিধ্বস্ত হয় নেদারল্যান্ডের আমস্টার্ডাম থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরগামী উড়োজাহাজটি। বিধ্বস্ত হওয়ার সময় আকাশযানটিতে ১৫ জন ক্রুসহ ২৯৫ জন আরোহী ছিল।
এদিকে নিজেদের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স। ইউক্রেনের আকাশসীমায় প্রবেশের পরপরই ওই উড়োজাহাজের সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে জানিয়েছে বিমানসংস্থাটি।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অ্যান্তন হেরাশচেঙ্কো জানিয়েছেন বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের কোনো আরোহী বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।
ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় প্রবেশের প্রাক্কালে মাটি থেকে প্রায় দশ হাজার মিটার উচ্চতায় উড়োজাহাজটিতে আঘাত হানে ক্ষেপণাস্ত্র।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যেখানে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে ইউক্রেনের রুশপন্থি বিদ্রোহী তত্পরতা চলছে। সোমবার ওই এলাকায় একইভাবে একটি ইউক্রেনীয় পরিবহন উড়োজাহাজকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে বিধ্বস্ত করে ইউক্রেনের রুশপন্থি বিদ্রোহীরা।
মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি নেদারল্যান্ডের আমস্টার্ডাম থেকে আন্তর্জাতিক সময় ১২১৪ মিনিটে উড়াল দেয়। কুয়ালালামপুরে এর পৌঁছার কথা ছিলো আন্তর্জাতিক সময় ৬টা ৯ মিনিটে।

বিমানের ২৯৫ যাত্রীর সবাই নিহত

শীর্ষ নিউজ
২৯৫ যাত্রী নিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে বিধ্বস্ত মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স বিমানের সব যাত্রী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামমপুর যাওয়ার পথে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
এর আগে গত ৮ মার্চ ২৩৯ যাত্রী ও ক্রু নিয়ে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান এমএইচ ৩৭০ নিখোঁজ হয়। সেটির আর কোনো খোঁজ মেলেনি।
এরপর বৃহস্পতিবার আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুর যাওয়ার পথে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের আরো একটি বিমান বিধ্বস্ত হলো। সূত্র : রয়টার্স
Blogger Widgets